ট্যাটুর ইতিহাস অনেক পুরানো। ধারনা করা হয় ২০০০ থেকে ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ট্যাটুর প্রচলন হয়।ধর্ম বিশ্বাস এবং নিজেকে রুপান্তর করার জন্য নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করার জন্য মানুষ শরীরে ট্যাটু করে আসছে হাজার বছর ধরে। 

এখন সেই ট্যাটু পরিবর্তিত হয়ে ইলেকট্রনিক ট্যাটু হিসেবে প্রযুক্তি বাজার দখল করছে ধীরে ধীরে। 
মাইক্রোসফটের কর্নধার বিল গেটস ঘোষনা দিয়ে নতুন ধরনের এক প্রযুক্তির।  যা বাজার থেকে স্মার্টফোন কে হটিয়ে দিতে সক্ষম হবে। নতুন প্রযুক্কির নাম ইলেকট্রনিক ট্যাটু।
 বিল গেটস জানান, কেউটিক মুন কোম্পানি নতুন প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক ট্যাটু একটি বায়োটেকনোলজি ভিত্তিক কৌশল। এর মাধ্যমে মানবদেহের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা যাবে। মুলত এই ট্যাটু প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা ও ক্রীড়া তথ্যের ডাটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে। এ তথ্যের মাধ্যমেই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
যদিও এই ইলেকট্রনিক ট্যাটুটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এটি ত্বকে অস্থায়ী ভাবে প্রয়োগ করা হবে। কাজ করবে ছোট সেন্সর ও ট্র্যাকারের সাহায্যে। যা একটি বিশেষ কালির মাধ্যমে তথ্য পাঠাবে ও গ্রহন করবে।এদিকে ইলেকট্রনিক ট্যাটুর ব্যাবহার কে যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিল গেটস। তিনি ভবিষ্যতে এই ডিভাইস আজকের স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। বিল গেটস বলেন, ইতিমধ্যেই হলিউডের অনেক সিনেমায় দেখা গেছে কল করতে,বার্তা পাঠাতে, ছবি বা ভিডিও ট্রানফার করতে ইলেকট্রনিক ট্যাটুর ব্যাবহার। তবে এখনি খুব সহজ হবে না এই নতুন প্রযুক্তির বাস্তবায়ন। বিল গেটস এ তার সহকারীরা এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের সহজ পথ খুজছেন।

Download Movie