সামনে আসছে ভয়াবহ দুর্দিন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমাদের পরিনতি কি? 


আমরা সবাই এতদিনে জেনে গেছি যে রাশিয়া ইউক্রেন যে যুদ্ধ শুরু করেছে তা যে কোন মুহুর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রুপ নিতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছেন যে "যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তা হবে পারমাণবিক এবং তা হবে অনেক ধ্বংসাত্মক "। 


কেমন ধ্বংসাত্মক?  তার ছোট্টো উদাহরণ হলো বর্তমানে পৃথিবীর পারমানবিক অস্ত্র সম্পন্ন যে সব দেশ আছে যে পরিমান পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে তা যদি বিস্ফোরিত হয় তা হলে পৃথিবী ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে মহাকাশে ছিটকে যাবে। মানব সভ্যতার এখানেই ইতি। 

তাই আমরা স্বরনকালের সবচেয়ে ভীতিকর সময়ে উপস্থিত হয়েছি।এখন আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। 


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে বাংলাদেশের কি হবে? 


আমাদের দেশ ছোট্টো একদা দেশ যার কোন পারমাণবিক সক্ষমতা নেই এবং আমাদের কোন পারমাণবিক অস্রধারী কোন শত্রুও নেই। কিন্তু তাই বলে আমরা কি বেঁচে যাব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে? না মোটেই তা নয় কারন ইতিহাস তাই বলে। 

১৯১৪ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তারপর ১৯৩৯ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু আমাদের সাথে হয়নি এবং আমাদের তেমন কোন অংশগ্রহণ ও ছিলো না কিন্তু তারপরও আমাদের (তৎকালীন ভারতবর্ষ) ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পড়তে হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু খাদ্যের অভাবে মারা গিয়েছিল। এবারো তাই হবে এবং তা হবে আরো ভয়াবহ। এবার লাখে  নয় কোটি কোটি মানুষ মরবে খাদ্য সংকটে। 


আমাদের করণীয় 

যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যায় তাহলে বাংলাদেশের মানুষের প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়াবে খাদ্য। যুদ্ধের ধামামা বাজার সাথে সাথে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মার্কেট থেকে খাবার সরিয়ে নেবে অধিক মুনাফার লোভে। তখন স্বর্ন হাতে ধারে ধারে ঘুরেও খাদ্য পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের এখনি যা করতে হবে 


১। প্রতিটা পরিবার তার সামর্থ্য অনুযায়ী নুন্যতম ৬ মাসের খাদ্য মজুদ করা। 

২। জরুরী প্রয়োজনিও অষুধ পর্যাপ্ত পরিমানে কিনে রাখা। 

৩। হাতে নগদ টাকা রাখা (ব্যাংকে নয়) 

৪। খাদ্য উৎপাদন করা (সবচেয়ে জরুরি) যার যার স্থান হতে যেন এক ইন্চি জমিও উৎপাদন আওতার বাইরে না থাকে। কারন মজুদ কৃত খাদ্য ফরিয়ে যাবে কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা শেষ হবে না। তাই উৎপাদন করতেই হবে


download here